School Bannar
প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অনলাইনে পেমেন্ট চলছে। অনলাইনে পেমেন্ট করার আইডি ও পাসওয়ার্ড এবং পরীক্ষার রুটিন নোটিশে দেওয়া হয়েছে। পেমেন্ট এর পদ্ধতি পরীক্ষার রুটিনে দেওয়া আছে। কম্পিউটারের ক্ষেত্রে- ওয়েবপেইজের উপরে মেন্যুবারে নোটিশ বোর্ডে ক্লিক করলে নোটিশ দেখা যাবে। মোবাইলের ক্ষেত্রে- ওয়েবপেইজের উপরে থ্রি লাইনস আইকনে ক্লিক করতে হবে, তারপর নোটিশ বোর্ডে ক্লিক করতে হবে। *

ত্রিশাল মহিলা ডিগ্রি কলেজ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

“পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন”

আসসালামু আলায়কুম। অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান গভর্ণিং বডি, শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, জমিদাতা, দাতা, শিক্ষানুরাগী, এলাকাবাসী এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকেই জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ঢাকার উত্তরে ও ময়মনসিংহ জেলা ও বিভাগের দক্ষিণে ঢাকা-ময়মনসিংহ ৪ লেন মহাসড়কের ত্রিশাল বাস স্ট্যান্ড হতে ৩০০ গজ পশ্চিমে ত্রিশাল থানা ও উপজেলা পরিষদের ঠিক বিপরীত দিকে পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে সুতিয়া নদীর কূল ঘেষে সুনিবিড় ছায়া ঘেরা সুন্দর মনোরম পরিবেশে ১৯৯০ সনে কলেজটি স্থাপিত হয়। কলেজটি ১৯৯০ সনে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৯৮ সনে ডিগ্রি পাস, ২০০২ সনে বাউবি এইচএসসি ও ২০০৫ সনে বিএ/বিএসএস কোর্স চালু হয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সাংবাদিক-সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমদ, আবুল কালাম শামছুদ্দিন এবং জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর স্মৃতি বিজরিত ত্রিশাল উপজেলা একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। এতদস্বত্বেও আবহমান কাল ধরে এ উপজেলা শিক্ষা বিশেষ করে নারী শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে অনেকটা পিছিয়ে। উপজেলা কেন্দ্রে যে কলেজটি রয়েছে সেখানে সহশিক্ষার সীমিত সুযোগ বিদ্যমান। বর্তমান সামাজিক পরিবেশে সহশিক্ষার বিষময় কুফল সকলেরই জানা। এমতাবস্থায় উচ্চ শিক্ষাকে সার্বজনীন করার লক্ষ্যে মেয়েদের জন্যে পূর্ণ নিরাপত্তাসহ নারী শিক্ষার স্বতন্ত্র ও সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি করা একান্ত বাঞ্চনীয় বিধায় এলাকার জ্ঞানীগুণী, বিদ্যোৎসাহী, সমাজ হিতৈষী ও স্থানীয় প্রশাসন সাবেক ত্রিশাল ইউনিয়ন পরিষদের জমিতে ১৯৯০ সনে এ কলেজটি স্থাপন করেছেন।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দক্ষ গভর্ণিং বডি, অভিজ্ঞ অধ্যক্ষ ও অধ্যাপক মন্ডলীর মাধ্যমে কলেজটি অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। কলেজের বর্তমান ছাত্রী/শিক্ষার্থী সংখ্যা, ভৌত অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অন্যান্য দিক ভাল। কলেজে বাউবি সহ ৪টি ও ২টি ভ্যেনু পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষ জনক। সর্বোপরি এ কলেজটি বহু চড়াই উতরাই এবং নানান প্রতিকূলতার মধ্যে আজ বহু পথ পেরিয়ে এসেছে।
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে সরকারের “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়ার স্বপ্ন পূরণে কলেজের অধিকাংশ কার্যক্রম অন লাইনে সম্পন্ন করা হয়। “শিক্ষার জন্যে এসো, সেবার জন্যে বেরিয়ে যাও” এবং আত্ম নির্ভরশীল হও- এভাবে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্ম প্রকাশ করাই আমাদের প্রত্যাশা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আগামী নারী প্রজন্মকে দূর্বার দূরন্ত গতিতে যেন আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেজন্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমীন।

মোঃ সেলিমুল হক তরফদার
অধ্যক্ষ
ত্রিশাল মহিলা ডিগ্রি কলেজ
ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।

ফটো গ্যালারি